কক্সবাজারের চকরিয়ায় গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো পাঁচটি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে ২৬২জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাছাই বাছাই করা হয়েছে। এদিন উপজেলার ফাসিয়াখালী, কৈয়ারবিল, খুটাখালী, বুমবিলছড়ি ও কাকারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ২৩জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৫৫ নারী প্রার্থী ও সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ১৮৪জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাছাই করা হয়। তাদের মধ্যে বয়স কম, প্রার্থী অন্য এলাকার ভোটার হওয়ায় এবং ব্যাংক ঋণ অনাদায়ের অভিযোগে সাধারণ ওয়ার্ডের মেম্বার পদে সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রির্টানিং কর্মকর্তারা। বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন, কাকারা ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডে জাফর আলম ও ৫নম্বর ওয়ার্ডে ছরওয়ার আলম, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে ৭নম্বর ওয়ার্ডে মোহাম্মদ ইসমাইল ও খুটাখালী ইউনিয়নে ১নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল কাদের, ২নম্বর ওয়ার্ডে অলি উল্লাহ, ৩নম্বর ওয়ার্ডে জাহেদুল ইসলাম তুফান, ৮নম্বর ওয়ার্ডে আকতার আহমদ। আগেরদিন মঙ্গলবার উপজেলার অন্য সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৩৬জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮২জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে পুরুষ মেম্বার পদে ২৬০জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়েছে।
ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের রির্টানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আতিক উল্লাহ বলেন, ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এহেছানুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাংবাদিক মাইন উদ্দিন হাসান শাহেদ ও হেলাল উদ্দিন হেলালী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৩২জন সকলের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে বৈধ বিবেচিত হয়েছে।
কাকারা ইউনিয়নে রিটানিং কর্মকর্তা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমান বলেন, কাকারা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত ওসমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজেম উদ্দিন ও বিএনপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ছাবু এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৪জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তবে বাছাইকালে সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৩৭জন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থী অন্য এলাকার ভোটার হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
কৈয়ারবিল ইউনিয়নে রিটানিং কর্মকর্তা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সুজন কাননগো বলেন, কৈয়ারবিল ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ চৌধুরী, বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ উদ্দিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র মক্কী ইকবাল হোসেন, হাসানুল হক চৌধুরী ও জাতীয় পাটির (এরশাদ) প্রার্থী ফয়জুল গনী এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৯জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৩৭জন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থীর বয়স কম হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
খুটাখালী ইউনিয়নে রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চৌধুরী মোর্শেদ আলম বলেন, খুটাখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, আওয়ামীলীগের প্রার্থী বাহাদুর হক, বিএনপির প্রার্থী আনিসুর রহমান, জাতীয় পাটির (মঞ্জু) প্রার্থী সাংবাদিক এমএইচ আরমান চৌধুরী, জাতীয় পাটি (এরশাদ) মুহাম্মদ আবদুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ জয়নাল আবেদিন, আরাফাত কামাল জিকু, মাইন উদ্দিন ও কুতুব উদ্দিন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ৫২জন প্রার্থীর মধ্যে চারজন প্রার্থী ব্যাংক ঋণ অনাদায়, বয়স কমের অভিযোগে তাদের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে বাতিল করা হয়েছে।
বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের রিটানিং কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো.খুরশিদুল আলম চৌধুরী বলেন, যাছাই বাছাইকালে বমুবিলছড়ি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, বিএনপির প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতলব, স্বতন্ত্র প্রার্থী কফিল উদ্দিন, মো.সোলাইমান ও মিজানুর রহমান এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে মেম্বার পদে ২৭জন প্রার্থী সকলের মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যাছাই বাছাইকালে যেসব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তাঁরা ইচ্ছে করলে তিনদিনের মধ্যে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এব্যাপারে আপীল করতে পারবে। এরপর তাঁরা বৈধ বিবেচিত হলে নির্বাচনে অংশ নিতে কোন বাঁধা থাকবেনা।
প্রসঙ্গত: নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চকরিয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্টিত হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল। ইতোমধ্যে ২৭ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিল ও ২৯-৩০মার্চ প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর দেওয়া হবে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ। #
পাঠকের মতামত: